পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীর খনন কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীর খনন কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এ জেলার উপড় দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর খনন কাজ দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নদীটির খনন কাজে তদারকি বাড়িয়ে কাজের গুনগত মান বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। করতোয়া খননে ফিরবে নব্যতা। বষার্য় পানির স্তর-স্্েরাত ধারা নদীর অভ্যন্তরে থাকবে বহমান। মৎস্য চাষ বা মাছের অভয়াশ্রম ফেরাবে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি।
জানা যায়, পঞ্চগড়ে র্দীঘদিন জনবল সঙ্কট থাকায় খনন কাজ ব্যহত হয়ে আসছিলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে গত ২০২০ ইং সালের মাঝামাঝিতে খনন কাজ শুরু হয়। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারনে হঠাৎ করে খনন কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড পঞ্চগড় ’এর নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলী জনিত কারনে মাঠ পর্যায়ে কাজে গতি থেমে যায়। তৎকালিন নির্বাহী প্রকৌশলীর সময় জেলার ছোট-খাটো নদী খনন হলেও এই করতোয়া নদীর খনন কাজ বন্ধ থাকে।
পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে পঞ্চগড়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি করোনার পরে কয়েকদিন করতোয়া নদী খনন কাজ পরির্দশন করার পর ‘আর সময় দিতে না পারায় মাঝপথে কাজে স্থবিরতা সহ নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়।
তিনি অপরিকল্পিত উপায়ে কাজ না করার জন্য অফিসিয়াল পত্র সহ মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করলেও সেই নির্দেশনা তেমন একটা কাজে আসে না। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আচ করতে পেরে যথাযথ ভূমিকা পালন করে। নদী খননে বিড়ম্বনা দুর করতে দ্রæত পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডে একজন স্থায়ি নির্বাহী প্রকৌশলী দেন।
জানা যায়, পঞ্চগড় সদরের মীরগড় থেকে-দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মারিজল পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ১০টি প্যাকেজের মাধ্যমে করতোয়া নদী খনন করা হবে।যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে একশত ১০ কোটি টাকা। পূর্বের কিছু অনিয়ম দুর করে বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী । এর ফলে প্রতিটি প্যাকেজের পয়েন্ট এলাকায় মেশিন বসিয়ে নদী খনন করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সোনাচান্দি, পাটশিরি ,ফুলতলা সহ নদী খনন এলাকা সরজমিনে গিয়ে তার সত্যতাও পাওয়া যায়। অনেকে তাদের বাড়ির আশে-পাশে গর্ত সহ নয়নজলি বরাট করে নিচ্ছে নদী খনন বালি দিয়ে। সেখানকার লোকজন ও দায়িত্বশীল কর্মর্কতারা জানান ‘ কেউ আবেদন করলে তাকে বালি দেওয়া হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র তাদের বাড়ির কাজের জন্য।
পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদদোল্লা (প্রিন্স) বলেন ‘স্থানিয় প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা নদী খনন কাজ দ্রæততার সাথে শেষ করতে চাই। আমি যোগদান করার পর পুরো বিষয়টি জেনেছি।এরপর সব পয়েন্টে নদী খনন পুরোদমে চালু রেখেছি।এই কাজ জুন/২০২১ এর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এতে যদি শেষ না হয় তবে সময় বাড়ানো হবে।