পঞ্চগড়ের খাদ্য বিভাগের অফিস রক্ষণাবেক্ষণ নেই বেহাল দশা দেয়াল ও গেটের
পঞ্চগড়ের খাদ্য বিভাগের অফিস রক্ষণাবেক্ষণ নেই বেহাল দশা দেয়াল ও গেটের

এএনবি পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃপঞ্চগড়ের খাদ্য বিভাগগুলি যেনো অরক্ষিত হয়ে আছে। গুদামগুলোর বাউন্ডারি ওয়াল সহ অফিস ভবন গুলি র্জীণশীর্ণ। তাতেই চলছে দাপ্তরিকসহ সব রকমের কাজকর্ম। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের ভবনটিও বর্তমান সময়েপোযোগি নয়। স্বল্প আয়তনের ভবনটিতে কোন রকম কাজকর্ম পরিচালনা হয়ে আসছে।
পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলায় ৮ টি খাদ্যগুদাম রয়েছে। এরমধ্যে তেতুঁলিয়া সদর ও ভজনপুর খাদ্যগুদাম। আটোয়ারি উপজেলার ফকিরগঞ্জ ও মির্জাপুর খাদ্যগুদাম। বোদা উপজেলার বোদা ও সাকোয়া খাদ্যগুদাম। দেবীগঞ্জে উপজেলায় দেবীগঞ্জ খাদ্যগুদাম এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলায় সদর খাদ্যগুদাম।
এসব খাদ্য গুদামগুলির অফিস ভবনের দৈণ্যদশা ও অধিকাংশ গুদামের বাউন্ডারি ওয়াল র্জীণর্শীণ , গেটগুলি সাদামাঠা।
আটোয়ারি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিজস্ব কোন ভবন বা অফিস নেই। উপঝোর ফকিরগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা অফিস-বাসভবন একত্রে। ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তার অফিস কক্ষে সবোর্চ্চ তিনজন লোক বসতে পারে। উপজেলার মির্জাপুর খাদ্য গুদামের অভ্যন্তরে গুদাম কর্মকর্তা অফিস-বাস ভবন একত্রে। ভবনটি র্জীণর্শীণ অবস্থা রয়েছে। অফিস কক্ষে ২ জন লোক বসলেই জায়গা থাকে না।
জেলার বোদা খাদ্য গুদামের অবস্থা বেশ নাজুক। গুদামটির অভ্যন্তরে চলাচল করা খুবই কষ্টকর। রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে র্জীণর্শীণ হয়ে গেছে। বাউন্ডারি ওয়ালের দৈণ্যদশা। বোদা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিস ভবনটি ব্যবহারে অনুপোযোগি।গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ অন্যান্য কর্মচারিরা কোনরকম কার্যাদি করে আসছে।
বৃষ্টি হলে গুদামের অভ্যন্তরে জমানো পানিতে চলাচল করা খুব কষ্টকর।কাঁদা আর পানিতে ভরে যায়।এতে খাদ্যশষ্যের গাড়িগুলি মারাতœক ঝূঁকি নিয়ে চলাচল করে।
এছাড়া বোদা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিজস্ব কোন ভবন নেই ‘ সেই আমল থেকে। উপজেলা প্রশাসনের মালিকানাধিন একটি ভবনে কোন রকম কাজ কর্ম করা হয়। এটি বোদা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।এই ভবনটি উপজেলা শিশু একাডেমি হিসেবে পরিচিত। ওই বোদা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাসিক ভবন ভাড়া দেয়া হয় উপজেলা প্রশাসনকে বলে জানা গেছে। ওই অফিসে দু-চারজন প্রবেশ করলেই জায়গা থাকেনা।
এদিকে বোদা উপজেলার সাকোয়া খাদ্য গুদামের গেট কোন রকম মেরামত করা হয় এবং অভ্যন্তরের রাস্তা কিছু দিন আগে সংষ্কার করা হয়েছে। তার আগে গেট ছিলো ভাঙ্গাচুড়া-র্জীণশীর্ণ। তবে গুদাম কর্মকর্তার ভবনটি টিনটেড। কোন রকম কাজ করা হচ্ছে ওই ভবনটিতে।
তেতুঁলিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস চলছে ‘ উপজেলা প্রশাসনের পুরনো ভবনের একটি নীচ কক্ষে কোন রকম। তবু জায়গা হয়না। ওখানেই কাজ করেন কর্মচারিরা।
তেতুঁলিয়া উপজেলার সদর খাদ্য গুদামের অভ্যন্তরে নতুন খাদ্য গুদাম নির্মানাধিন। তবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিস ভবন ও ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তার বাস ভবন একত্রে। সে ভবনটির ও দৈণ্যদশা। অফিস ভবনে ২/৪ জন বসলেই আর জায়গা থাকে না। গুদামের অভ্যন্তরের রাস্তা ভাঙ্গাচুড়া।খাদ্যশষ্য আনা নেওয়া কষ্টদায়ক।তেতুঁলিয়া উপজেলার ভজনপুর খাদ্য গুদামের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তার অফিস- বাসভবন একত্রে।অফিস ভবন বলতে গেলে ছোট একটি রুম মাত্র। তিনজন লোক বসলেই পুরো রুম বøক হয়ে যায়। যারা গুদামে চাকরি করতে আসেন তারাই কোন রকম নিজের পকেটের অর্থে ঘষামাজা করে অফিস ও বাসাটি ব্যবহার করছেন।
তবে দেবীগঞ্জ উপজেলার সদরে খাদ্য গুদামের গেট ও রাস্তা সংষ্কার জরুরি। খাদ্য গুদামের অফিস ভবন একত্রে। তবে সব ঠিকঠাক থাকলেও অফিস চলছে তিনজনের জায়গা নিয়ে। তিন জন বসলেই পুরো রুম বøক হয়ে যায়। তখন কেউ উঠে দাঁড়াতে পারলেও বের হওয়া কঠিন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে বর্তমান কোন অফিস ভবন নেই বললেও চলে। সদর খাদ্য গুদামের ভিতরে অফিস চালু রয়েছে ‘সেই আমল থেকে।
এদিকে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস ভবনটির বেহাল দশা।ছোট একটি টিনসেড ভবনে তিনটি কক্ষে চলছে অফিস। নেই মেরামত বা সংষ্কার। জেলা নিয়ন্ত্রকের অফিস ভবনটির ও দৈণ্যদশা বলা যায়। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস ভবনে বৃষ্টির পানি ছাদ চুয়ে পড়তো। সম্প্রতি ছাদ মেরামত করার পর পানি পড়া বন্ধ হলেও জায়গার স্বল্পতা যথেষ্ট। তিনটি কক্ষ নিয়ে ভবনটি নির্মিত। এ ভবনে একটি কক্ষে দু-চার ৫ জন প্রবেশ করলেই জায়গা বøক হয়ে যায়। কেউ বের হতে গেলে সমস্যা হয়। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বর্তমান নেই। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ‘ ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। তিনিও কদিন আগে ঠাকুরগাঁয়ে যোগদান করেছেন । ফলে তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ক’দিন দায়িত্বে ছিলেন সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল হক। তার সাথে কথা বললে ‘ তিনি বলেন এম আর কলেজ রোডের খাদ্য গুদামের পাশে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস ভবন হওয়ার প্রস্তাবণা রয়েছে। উপড়ের পূর্নাঙ্গ নির্দেশনা না আসায় এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়া যাচ্ছেনা।খাদ্য নিয়ন্ত্রক আরো জানান ‘ নির্মাণ বিষয়ে দেখভাল করেন ‘ আঞ্চলিক রক্ষনাবেক্ষণ প্রকৌশল (আর এমই) রংপুর।