পঞ্চগড়ে সরকারি গুদামে কৃষক ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না; লক্ষ্যমাত্রা পূরন অনিশ্চিত
পঞ্চগড়ে সরকারি গুদামে কৃষক ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না; লক্ষ্যমাত্রা পূরন অনিশ্চিত

এএনবি পঞ্চগড় থেকে কামরুল ইসলাম কামু ঃ ধান ক্রয়ে সরকারি বিধি নিষেধে কঠোরতা এবং বাজার দর একই রকম হওয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই কৃষকের মাঝে। তারপরেও ধান ক্রয় করার আশায় আছেন খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। সংগ্রহ অভিযান শুরুর দেড় মাসে মাত্র ৩৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যায়, ধানের বর্তমান বাজারদর ও গুদামে ধান ক্রয়ের সরকার– নির্ধারিত দাম প্রায় সমান। এ পরিস্থিতিতে গুদামে ধান বিক্রি করে কৃষকদের তেমন লাভ থাকবে না। তার ওপর কৃষকদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করা অনেক ঝক্কি-ঝামেলার। আর্দ্রতার কথা বলে প্রতি মণে এক-দুই কেজি করে বেশি ধান নেওয়া হয়। অনেক সময় ধান ফেরতও দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় বাজারে এসব ঝক্কি-ঝামেলা নেই।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে পঞ্চগড় জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় কৃষকের ১০টি উপজেলায় লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি গুদামে ধান ক্রয় করা হবে বলে গেছে। তবে অন্য সব উপজেলাতেই এই নিয়মেই ধান ক্রয় করা হবে বলে খাদ্য বিভাগ জানায়।
জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৯২ মেট্রিক টন। প্রতি মণ ১ হাজার ৪০ টাকা (২৬ টাকা কেজি) দরে ১৪ শতাংশ নিচের আর্দ্রতার ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে জেলা সদরে লটারির মাধ্যমে ৫৮৪৭ জন কৃষকের নামের তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে ৩০৮ জন কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। কৃষককে সরকারি গুদামে ধান বিক্রির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল থেকে জেলায় সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান ‘ ২/৩ দিন হয় মাত্র ১ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। কৃষক ধান না দিলে আমরা কিভাবে কিনবো। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি ধান ক্রয়ে।
সদর উপজেলার চাকলাহাট ও হাড়িভাসা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বললে ‘ তারা জানায় ‘ সরকারি গুদামে ধান দিতে গেলে অনেক ঝামেলা। কারন ধানের আদ্রতা আর শুকানো এবং ব্যাংক হতে টাকা তোলা। রহমান নামে এক কৃষক বলেন ‘ সরকারি গুদামে ধান দিলে আমাদের পোষাবে না। কেরিং খরচ ছাড়া নিজেরও একটা খরচ আছে। তারপর টাকা নিতে গেলে আরো সময় দিতে হয়।সামসুল নামের একজন কৃষক বলেন ‘ আমরা বাজারে ধান দেই নগদ টাকা পাই। ‘এতে আদ্রতা কি আর কাঁচা কি। ধান দিলাম টাকা পেলাম নগদ ঝামেলা শেষ।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার ২৯ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে বোরো অবাদ হয়েছে।এতে ধান উৎপাদন হবে ‘ ১ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৩ মেট্রিক টন। সে অনুপাতে চাল উৎপাদন হবে ‘ ১ লাখ ৩০ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন বলেন, এবারে আবহাওয়া অনুকুলে ছিলোনা। তাছাড়া সরকারি দর এবং বাজার দর প্রায় সমান হচ্ছে। সে কারনে ধান দিতে আ্রগহ দেখাচ্ছেনা কৃষক। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি ধান কিনতে ৩১ আগষ্ট র্পযন্ত ধান ক্রয় করা যাবে।#