পঞ্চগড়ের কভিড ১৯ রোগীদের সহায়তায় বিশেষ কমিটি।। আইসোলেশনে থাকাদের বিনোদনে জেলা প্রশাসকের টিভি উপহার।।

পঞ্চগড়ের কভিড ১৯ রোগীদের সহায়তায় বিশেষ কমিটি।। আইসোলেশনে থাকাদের বিনোদনে জেলা প্রশাসকের টিভি উপহার।।

পঞ্চগড়ের কভিড ১৯ রোগীদের সহায়তায় বিশেষ কমিটি।। আইসোলেশনে থাকাদের বিনোদনে জেলা প্রশাসকের টিভি উপহার।।

এএনবি পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে স্থাপিত কভিড ডেডিকেটেট হসপাতালের কভিড ১৯ রোগীদের বিনোদনমুলক সময় কাটানোর জন্য একটি ৩২ ইঞ্চি টেলিভিশন উপহার দিলেন জেলা প্রশাসক সবিনা ইয়াসমিন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা করোনা মনিটরিং কমিটির সভা শেষে সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমানের হাতে টিভিটি তুলে দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, বোদা পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বোদা উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি, আটোয়ারী উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, দেবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিশতী, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ করোনা মনিটরিং কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৮০ জনের করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন ইতিমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন। তবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৫ জন শনাক্ত হয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলায়। এজন্য দেবীগঞ্জ উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সেথানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ তাগিদ প্রদান করা হয়। এছাড়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সকলের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ হাট বাজরে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে নিয়োমিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য পৌছানোসহ তাদের খোঁজ খবর রাখতে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে বিশেষ কমিটি গঠনের জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন নিশ্চিত করার জন্য পঞ্চগড় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিকে কভিড ডেডিকেটেট হাসপাতাল করোনা  নির্বাচন করা হয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্ত চার জনকে এই এই হসপাতলে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। থাকা খাওয়ার ভাল ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে তাদের কোন বিনোদনের ব্যবস্থা ছিলো না। বিষয়টি চিন্তা করেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে এই টেলিভিশন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কভিড ১৯ রোগীদের সাথে নিয়োমিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাদের যে কোন সমস্যায় আমরা পাশে রয়েছি। সরকারিভাবে করোনা আক্রান্ত প্রতি ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমরা পুষ্টিকর খাবার তাদের মাঝে বিতরণ করেছি। করোনায় আক্রান্ত কেউ যেন কোন ভোগান্তিতে না পড়েন, তা আমরা খেয়াল রাখছি। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকা রোগীদের বিনোদনের জন্য টিভি কিনে দিয়েছি। এছাড়া জেলায় করোনার সংক্রমন ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সংস্পর্শে নতুন করে কেউ যেন আক্রান্ত না হয় সেটা বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখছি। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর রাখাসহ তাদের সহযোগিতার জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।।